কূটনীতির মাধ্যমে যুদ্ধ সমাপ্তির আশা

গাজায় গত বছরের মে মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলার একটি দৃশ্য

মাত্র ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একচিলতে জায়গায় গুলি-গোলা-ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফাঁক গলে কোনোমতে টিকে থাকা লাখ পনেরো গাজাবাসীর ওপর পর্বতসম চেপে আছে জায়নবাদী ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ। তাদের লাগাতার হামলায় গাজার ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ আজ বাস্তুচ্যুত। কংক্রিটের দানবাকৃতি দেয়াল দিয়ে ঘেরা গাজার চতুর্দিকেই হাজারো ইহুদি সেনার চৌপ্রহর সশস্ত্র প্রহরা। এর আসমানটি খোলা বটে, তবে সেখানে চন্দ্র–সূর্য–তারার চেয়ে ইসরায়েলের জঙ্গিবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমার ঝাঁকের দেখাই বেশি পাওয়া যায়! অবরুদ্ধ জনপদটির বাতাসও ভরে গেছে রাসায়নিক হামলার মারণ-বিষে। সেই বিষ দেহে ধারণ করে জন্মাচ্ছে বিকলাঙ্গ–পঙ্গু শিশু। ‘ফিলিস্তিনি’— শুধু এই পরিচয়ের জন্য আর ১০ জনের মতো সেই শিশুদেরও স্বাভাবিক মৃত্যুর ভাগ্য নেই! এই মৃত্যু যখন-তখন; দিন–রাতের ভেদ তো নেই-ই, ধর্মীয় উৎসবের দিন, এমনকি প্রার্থনার সময়ও ট্রিগার টিপতে এতটুকু হাত কাঁপে না ইসরায়েলি যুদ্ধবাজ সেনাদের। তাই পবিত্র ঈদের দিনও প্রাণ হারান নিরীহ ফিলিস্তিনি, উৎসবরত শিশুর বেঘোর মৃত্যুর সাক্ষী হয় ‘বিবেকি’ বিশ্ব