
নির্দিষ্ট সময়ের আগেভাগেই এবার বাংলাদেশে বর্ষা হাজির হয়েছে। মঙ্গলবার কক্সবাজারে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছে বর্ষা। সারা দিনে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুতুবিদয়ায় ৫৬ মিলিমিটার। এরপরেই হয়েছে কক্সবাজারে ৩১ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে, বিশেষ করে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মে মাসজুড়ে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এ বৃষ্টি হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ওই বৃষ্টির প্রভাব এখন কেটে গেছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে মূলত মৌসুমি বায়ুর কারণে। গ্রীষ্মের বৃষ্টি যেমন টানা চলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে থেমে যায়; বর্ষার বৃষ্টি তেমনটা নয়, এটি কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। ফলে এখন থেকে দিনভর বর্ষার বৃষ্টি নামা শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছে। এটি এখন মিয়ানমারের আরাকান ও বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থান করছে। তবে মৌসুমি বায়ু শুরুতে উপকূলে এসে কয়েক দিন স্থির থাকে। তারপর তা ধীরে ধীরে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে ছড়িয়ে বৃষ্টি ঝরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার বিকেল থেকে রাতের মধ্যে রাজধানীতেও মৌসুমি বায়ুর একটি অংশ আসতে পারে। এতে রাজধানীতে অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে সারা দেশে মৌসুমি বায়ুর বা বর্ষার বৃষ্টি পুরোদমে শুরু হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে। আর অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী থাকায় বৃষ্টিও বেশি হতে পারে।